আমাদের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার একটি হল “বস্ত্র” । আমরা যে বস্ত্র পরিধান করি তা কেটে সেলাই করতে হয়। আর সেলাই করার জন্য প্রয়োজন হয় সেলাই মেশিন। বর্তমানে মানুষ বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় পরিধান করতে আগ্রহী হয়। আর নিজের স্বাচ্ছন্দ্য ও পছন্দের আকার দিয়ে কাপড় সেলাই করে। যুগের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে পোশাকে যেমন পরিবর্তন এসেছে তেমন দর্জিরাও হয়ে গেছে সচেতন। সাশ্রয়ী মূল্য ও কম সময়ের মধ্যে গ্রাহক চাহিদা মেটানোর জন্য ব্যবহার করে ইলেকট্রিক সেলাই মেশিন। সাধারণ সেলাই মেশিনের তুলনায় ইলেকট্রিক সেলাই মেশিনের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। নিজের ছোটোখাটো সেলাই কাজ করার জন্য একটা সেলাই মেশিন থাকাটা বেশ উপকারের বটে!
মেশিন নিয়ে জেনে রাখিঃ সেলাই মেশিন মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে। হাত মেশিন, পা মেশিন ও ইলেকট্রি মেশিন। হাত মেশিন কিছুটা ভারী হলেও বহনযোগ্য। পা মেশিনের ক্ষেত্রে এক্সট্রা স্ট্যান্ড দরকার হয়। স্ট্যান্ডের ওজনের উপর নির্ভর করেই দাম নির্ধারিত হয়। এসব ছাড়াও জিগজাগ সেলাই মেশিনও আছে।
সেলাই মেশিনের কার্যপ্রক্রিয়াঃ একটি সাধারণ সেলাই মেশিনের দাম ৬০০০-১০০০০টাকা। আর ইলেকট্রিক সেলাই মেশিনের দাম শুরু হয় ১৫০০-২০০০ টাকায়। হাত বা পা দিয়ে যে মেশিন চালানো হয় সেগুলোতে ইলেকট্রিক এর দরকার হয়না। কিন্তু ইলেকট্রিক সেলাই মেশিন চলে ব্যাটারি বা এডাপটর এর সাহায্যে। এডাপটর আলাদা কিনে নিতে হয় । ইলেকট্রিক সেলাই মেশিনের সাথে থাকে একটি ফুট প্যাডাল, একটি সুঁই, চারটি মেটাল ববিন। ইলেকট্রিক মেশিনে তিনটি বাটন থাকে। একদম উপরের সুইচটি চাপলে লাইট জ্বলবে যাতে সেলাই কাজ করতে সুবিধা হবে। মাঝখানের সুইচ দিয়ে মেশিন চালু হবে। আর একদম নিচের সুইচ দিয়ে মেশিনের গতি বাড়ানো কমানো যাবে।
দেশীয় বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সেলাই মেশিন পাওয়া যায়। সিঙ্গার,বাটারফ্লাই,বার্ডফ্লাই,জুকি ,অটোমেশিন ইত্যাদি রকমের মেশিন আছে। তবে দেশীয় পণ্য হিসেবে Walton এর জুড়ি নেই। সাশ্রয়ী মূল্য ও টেকসই গঠনের ভিত্তিতে Walton এর ইলেকট্রিক সেলাই মেশিন হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ। www.osellers.com থেকে Walton ইলেকট্রিক সেলাই মেশিন কিনলে পাচ্ছেন নিশ্চিত ক্যাশব্যাক।