ঠান্ডা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরুপ। সবসময় চুলায় খাবার গরম করতে যাওয়াও ঝামেলার ব্যাপার। ওভেন হচ্ছে সমাধান। খাবার গরম করার জন্যই নয় শুধু, কেক, বিস্কিট নানা ধরনের নাস্তা বা খাবার তৈরীর জন্যও ব্যবহার করা হয়। সবদিকে সমান ভাবে তাপ প্রসারিত হয়ে খাদ্যকে তাজা স্বাদ প্রদান করে।ওভেন মূলত তিন ধরনের হয়। গ্যাস ওভেন, ইলেকট্রিক ওভেন ও মাইক্রোওভেন।গ্যাসের ওভেন গ্যাস দ্বারা চালিত যাতে চুলার মতো বার্ণার থাকে তাতে রান্না করা যায় এবং বেকিং, গ্রিল এসবও বানানো যায়। ইলেকট্রিক ওভেন সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত। এতে খাবার গরম করা বা হাল্কা রান্না করা যায়। বেকিং বা গ্রিল করা যায়না। মাইক্রোওভেন ও ইলেকট্রিকচালিত। তবে ইলেকট্রিক ও মাইক্রোওভেন এর মধ্যে পার্থক্য হলো ইলেকট্রিক ওভেনে খাদ্য ও পাত্র দুটোই গরম হয়। কিন্তু মাইক্রোওভেনে খাদ্য গরম হয়, পাত্র হয়না। এর কারণ হল এতে একটি বিশেষ কম্পাঙ্কের তরঙ্গ এর মাধ্যমে খাবার গরম হয়। মাইক্রোওভেন আছে তিন ধরনের। কনভেকশন, গ্রিল ও সোলো।
সবদিক বিবেচনা করলে মাইক্রোওয়েব নেওয়াই উত্তম। মাইক্রোওভেন কেনার আগে মনে রাখুন-
১)কেনার আগে অবশ্যই বিবেচনা করে নিন আপনার কোন ধরনের মাইক্রোওভ্যান প্রয়োজন ।
২)ওভেনে পাওয়ার মোডে ৫টি লেভেল আছে কিনা দেখে নিন।
৩)মেশিনের ওয়ারেন্টি সুবিধা নিশ্চিত করুন।
৪)মেশিন পরিষ্কার করার জন্য ইজি ক্লিনিং সুবিধা আছে কিনা দেখুন।
৫)মেশিনের কন্ট্রোল প্যানেল চেক করে নিন তা ব্যবহার করতে সহজ হবে কিনা।মূলত মেকানিকাল কন্ট্রোল প্যানেল থাকাটা উত্তম।
৬)বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য চাইল্ড সেইফটি সিস্টেম আছে কিনা তা অবশ্যই চেক করে নিন।
৭) Wattage বেশি হলে রান্না দ্রুত হয় আর কম হলে রান্না আস্তে হয়।
ওভেনের যত্ন নিন-
১) ওভেনে কাজ শেষে গরম থাকা অবস্থায় এর দরজা খোলা রাখুন।
২)কাজ শেষে বা পরিষ্কার করার সময় বৈদ্যুতিক প্লাগটি খুলে দিন।
৩)ওভেনে রান্নার সময় হিট প্রুফ বাটি ব্যবহার করুন।
৪) ওভেনের পিছনের দিকে যাতে কোনো ময়লা না জমে বা পোকামাকড় না ঢুকে তা খেয়াল রাখা উচিত।
কোন ওভেনটি কিনতে পারেনঃ
দেশীয় বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মাইক্রোওভেন পাওয়া যায়। তবে ওয়ালটন ওভেন দেখতে আকর্ষণীয়, মানে উন্নত, দামেও সাশ্রয়ী। ওয়ালটন মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খুব অল্প সময়ে খাবার গরম করা বা রান্না করা যায়। ১ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টিসহ সব মডেলের ওয়ালটন ওভেনের মূল যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে ২ বছরের ওয়ারেন্টি রয়েছে। সব মডেলে রয়েছে অটো কুক এবং কম্বি ফাংশন ফিচার। টেম্পারড গ্লাস ডোর ব্যবহার করায় ওয়ালটন ওভেন টেকসই। মডেলভেদে রয়েছে বহুমুখী সুবিধা। ফলে মাইক্রো, গ্রিল ও কনভেকশন—তিন ধরনের রান্না করার সুযোগ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণ এবং এলইডি ডিসপ্লে থাকায় ব্যবহারও সহজ।বর্তমানে বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের ১৩ মডেলের ইলেকট্রিক অ্যান্ড মাইক্রোওয়েভ ওভেন। এর