বাঁশের বেতের মাদুর!

বাঁশের বেতের মাদুর!

Home and Garden

বাংলাদেশের বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন হস্তশিল্পের একটি হল বাঁশের শিল্পকর্ম। এটি একটি লোকশিল্প। এসব শিল্পের প্রধান মাধ্যম হল বাঁশ।


আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ২৬ প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে তল্লাবাঁশ, বইরা বাঁশ মুলিবাঁশ দিয়ে শিল্পকর্ম করা সহজ। গ্রামাঞ্চলে বাঁশের বেত দিয়ে তৈরী নানা জিনিসের চলন আছে এখনো। বিভিন্ন বেতের ঝুড়ি, বসার মোড়া , পাটি, মাদুর, চালুনি ইত্যাদি বেশি ব্যবহার হয়।

বর্তমানে মানুষ যেমন নগরায়নের দিকে ঝুঁকছে তেমনি শৈল্পিকতাকেও তুলে ধরছে প্রাত্যহিক জীবনে। বাঁশের বেতের মাদুর তেমনি একটি শিল্পের নাম। যা ব্যবহারে আবাসস্থলে আসতে পারে অনন্য ভাব। এই ধরনের মাদুর বসার ঘরে কিংবা শোয়ার ঘরে ব্যবহার করতে পারবেন। বহন করতেও বেশ সুবিধার। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিতে চাইলে সহজে গুটিয়ে নেয়া যায়। বাঁশের মাদুরে শোয়া বেশ আরামদায়ক। বাঁশ একটি প্রাকৃতিক পণ্য হওয়ায় এটি পরিবেশবান্ধব। এই পণ্যে একটি ঐতিহ্য ধারণ করার মতো আকর্ষন আছে। তাই যে কোনো শৌখিন মানুষের কাছে  এই মাদুর অবশ্যই গ্রহণযোগ্যতা রাখে।

বাঁশ ও বেত হতে তৈরী তৈজসপত্রের যত্ন না করলে তা ভেঙ্গে যায়। তাই কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত-

) মাদুর ব্যবহার করার পর বিশেষ করে যদি ভিজে তাহলে অবশ্যই রোদে শুকাতে দিন।

) মাদুরে বসে খাবার খেলে তাতে কোনো খাবারের অংশ বা ঝোল, মিষ্টি জাতীয় কিছু যাতে লেগে না থাকে তা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। কারণ এসব লেগে থাকলে ইঁদুর বা তেলাপোকা মাদুর কেটে ফেলতে পারে।

) সবসময় মাদুর সুন্দরভাবে লম্বালম্বি ভাঁজ করে রাখা উচিত। যাতে মাঝখানে ভেঙ্গে না পড়ে।

এরকম ঘরোয়াভাবেই বাকি বাঁশ ও বেতের তৈরী তৈজসপত্রের যত্ন করতে হবে।


বাঁশের বেতের তৈরী পণ্যগুলো বিভিন্ন লোকাল বাজারে পাওয়া যায়। গ্রামের হাট-বাজার ও মেলাগুলোতেই এসবের দোকান থাকেই। তবে Osellers এ পাচ্ছেন আকর্ষনীয় ডিজাইন ও অভিজাতসম্পন্নভাবে তৈরী মাদুর।  চমৎকার দেখতে বাঁশের মাদুর কিনুন Osellers থেকে।