বাংলার অনেক
বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যবাহী কুটিরশিল্পের একটি অংশ হলো শীতল পাটি। একসময় বাঙ্গালীদের ঘরে
ঘরে এর ব্যবহার ছিলো অনেক
শীতল পাটি
– এক ধরনের মাটিতে বা মেঝেতে বিছানোর আসন। এটি এক ধরনের গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ হতে তৈরি
করা হয়। এটি স্থানীয় ভাবে “মূর্তা” নামে পরিচিত। তবে স্থান ভেদে এটি মুসতাক, পাটিবেত
ইত্যাদি নামেও পরিচিত। মূর্তা গাছ দেখতে সরু আকারের , ঝোপ আকারে জন্মে। মূর্তা উদ্ভিদ
থেকে পাটি বোনার উপযোগী বেত তৈরি করে নেন পাটিয়াল। বেত যত চিকন হয় পাটি তত আরামদায়ক
হয়।আর চিকন বেতকে কাজোপযোগী করে তোলার সম্পূর্ণ
কাজটি শেষ করা বেশ কষ্টসাধ্য।
বাংলাদেশের
বিভিন্ন স্থানে মূর্তা উদ্ভিদ জন্মে যেমন – বরিশাল, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর।
কিন্তু সিলেটের শীতল পাটি বেশি বিখ্যাত। সিলেটের সুনামগঞ্জ এলাকার শীতল পাটির সুনাম
বেশ জনপ্রিয়।
ঢাকায় বিভিন্ন
মার্কেটে শীতল পাটি পাওয়া যায়। বর্তমানে অনলাইনেও শীতল পাটি পাওয়া যায়। আরামদায়ক শীতল
পাটি পেতে ভিজিট করুন www.osellers.com এ।