বোরকার প্রতি বাড়ছে নারীদের আগ্রহ!

বোরকার প্রতি বাড়ছে নারীদের আগ্রহ!

Clothing, Health and Beauty

বোরকা – আমাদের দেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলাদের জনপ্রিয় একটি পোশাক। ইসলামী শরিয়ত মতে পর্দা করার বিধান আছে নারীদের। তাই একটি নির্দিষ্ট বয়স থেকেই মুসলমান নারীদের পর্দা মেনে চলতে হয়। আর যে পোশাকটির মাধ্যমে সারা শরীর ঢেকে রাখা যায় সেটিই বোরকা নামে পরিচিত।

আমাদের দেশীয় মার্কেটগুলোতে বর্তমানে বিভিন্ন ডিজাইনের বোরকা পাওয়া যায়। আবার অনেকেই আছেন যারা পছন্দের রঙের ও কাপড়ের বোরকা সেলাই করান। বোরকা একটি ঢিলেঢালা ধর্মীয় পোশাক যা প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম মহিলাদের পুরো শরীরকে আপাদমস্তক ঢেকে রাখে; কেবল দেখার জন্য মুখমণ্ডলের সম্মুখভাগ বা চোখের অংশটি খোলা থাকে। সাধারণত পাতলা কাপড় দিয়ে এটি তৈরি করা হয়।

বোরকা বিভিন্ন ধরনের আছে যাদের বিভিন্ন নামে চেনা যায়।আমাদের দেশের পরিচিত বোরকার ধরনগুলো হল – আবায়া, খিমার, ইরানী বোরকা, আফগানী বোরকা, গাউন বোরকা ইত্যাদি।

বোরকাঃ

বোরকার ব্যবহার অনেক আগেও ছিলো, রয়েছে, সবসময় থাকবে। তবে পরিবর্তন হয়েছে ধরন-ডিজাইনে। পর্দা বা শালীনভাবে চলার পাশাপাশি বোরকা এখন মেয়েদের কাছে ফ্যাশনের অংশ হয়েও দাড়িয়েছে। সেই ফ্যাশনও পরিববর্তন হচ্ছে দিনকে দিন। বোরকা এখন লং থেকে রূপান্তরিত হয়েছে শর্ট, থ্রি-কোয়ার্টারে। তবে যারা বোরকা, হিজাব কিংবা আবায়া পড়েন তারা সেই পোশাকের মধ্য দিয়েই নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন। ধর্মীয় নিয়ম মেনে আবার নিজস্ব স্বকীয়তাকে প্রাধান্য দিয়েই নারীরা বোরকা পরিধানের দিকে ঝুঁকছেন। আমাদের দেশে একসময় গতানুগতিক কালো রঙের বোরকাই ছিলো । কিন্তু এখন আর সেই গতবাঁধা নিয়ম মেনে কালো বোরকাই পরিধান করতে হবে এমনটা বিশ্বাস করেন না কেউ, তাই বাজারে দেখতে পাওয়া নানান রঙের বোরকার সমাহার।

আবায়াঃ

সবগুলো মুসলিম রাষ্ট্রে  নারীদের পর্দা মানাটাকে প্রাধান্য দেয়া হয়। আর লম্বা আলখাল্লা ডিজাইনের এই বিশেষ পোশাকটি আবায়া নামে পরিচিত। বোরকার তুলনায় এটি ফ্যাশনের দিক থেকে বেশি গ্রহণযোগ্যতা রাখে। কারণ এটি লম্বা হওয়ায় সব দিক ঢেকে থাকে আবার ডিজাইনেবল হওয়াতে বেশ সুন্দরভাবে যেকোনো অনুষ্ঠানেও পরিধান করা যায়। এর উপরের লেয়ারটিও বেশ সুন্দর আকর্ষণীয় ডিজাইনের হয়।

খিমার ও হিজাবঃ

বোরকা ও আবায়ার সাথে অনেকেই পছন্দনীয় রঙের বা প্রিন্টের খিমার ও হিজাব পড়তে পছন্দ করেন। অনেক নারীরা আছেন যারা বিভিন্ন রকমের হিজাব কালেকশন করতে পছন্দ করেন। বোরকা বা আবায়া না পড়লেও সালোয়ার কামিজ বা শাড়ির সাথে হিজাব পড়েন এমন অনেকেই আছেন।

বোরকা পরিধান করার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখা উচিত যে তা যেন শরীরকে বা শারীরিক গঠনকে কোনোভাবে প্রদর্শন না করে। আমরা অনেক সময় এমন অনেক নারীদের দেখি যারা বোরকা বা আবায়া পরিধান করে ঠিক কিন্তু তা দৃষ্টিকটু হয়ে ধরা পড়ে। যেহেতু এটি ইসলাম ধর্মের অংশ তাই এক্ষেত্রে নিয়মগুলোও মেনে চলা উচিত । বোরকার আধুনিকায়ন হয়েছে তা অবশ্যই ভালো বিষয়। কিন্তু ফ্যাশনের নামে যেনো এই ধর্মীয় দিকটির অসম্মান না হয় তাও মাথায় রাখতে হবে নারীদের।

বিভিন্ন ডিজাইনের ও রঙের বোরকা, আবায়, হিজাব ও খিমারের কালেকশন পেতে ভিজিট করুন  www.osellers.com এ।