পড়ালেখা শেষ
করেই যুবক –যুবতীরা ছুটতে শুরু করেন চাকরির
উদ্দেশ্যে। চাকরি খুঁজতে আসা তরুন –
তরুনীরা শুধু চাকরি পাওয়া নিয়েই চিন্তা
করেন কিন্তু কিছু ছোটোখাটো বিষয়ে মনোযোগ দিতে ভুলে যান। দেশে যে পরিমাণে শিক্ষিতের
হার বাড়ছে সে হারে কাজের ক্ষেত্র তৈরী হচ্ছেনা। তাই দেশের তরুন সমাজ কর্মহীন হয়ে
পড়ছে দিন দিন।
আমরা চাকরি
খুঁজি, পাওয়ার জন্য অনেক তৎপর হয়ে উঠি।
অথচ বেশিরভাগই জানিনা কোন বিষয়গুলোর উপর জোর দিলে আমাদের কর্মস্থানের সুযোগ
প্রশস্ত হবে আরো বেশি।
চাকরির জন্য
চেষ্টা করার ব্যাপারে প্রথমে জোর দিতে হয় সিভি তৈরীর উপর। সিভিতে অবশ্যই সদ্য তোলা
ছবি সংযোজন করতে হবে। সিভিতে নিজের তথ্য এমনভাবে লিখতে হবে যাতে এটি পড়েই নিয়োগকারীদের
মনে হয় আপনি স্মার্ট।নিজের ব্যক্তিগত তথ্যগুলোতে কোনো ধরনের ভুল যেন না হয় তা
খেয়াল রাখুন। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতাতে যদি সিজিপিএ কিছুটা কম থাকে আর কাজের পূর্ব
অভিজ্ঞতা তাহলে কোয়ালিফিকেশন এর আগে আপনার
কাজের অভিজ্ঞতা লিখুন।আর যদি আপনার রেজাল্ট ভাল হয় তাহলে জব এক্সপেরিয়েন্স পরেও লেখা
যায়। তারিখ, সাল, ঠিকানা এসব বিষয় খুব ভাল করে চেক করে নিন যাতে কোনো ভুল তথ্য না
থাকে।
কর্মচারী নিয়োগ
করার ক্ষেত্রে নিয়োগকারীরা যোগ্যতার উপর বেশি জোর দেন।অনেকেই আছেন যাদের শিক্ষাগত
যোগ্যতা কম হলেও কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনেক ভালো হয়। ব্যবহারিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ
হলে এবং যে চাকরীর জন্য চেষ্টা করছে সে কাজটি সম্পর্কে খুব ভালভাবে জানলে চাকরিটি
পেতে সহজ হয়। বর্তমানে নিজেকে যেকোনো কাজের জন্য উপযোগী করে তুলতে বিভিন্ন স্থানে ট্রেনিং
সেন্টার এর ব্যবস্থা আছে ।
সময়ের সাথে সাথে
নিজেকেও আপডেট করতে হবে। প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে আমাদের আশেপাশের নানা বিষয়ে।
চালচলন, কথাবলার ধরন ইত্যাদি নানা ছোটোখাটো বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে ও শিখতে হবে।
আমাদের দেশীয় চাকরিবাজারের প্রেক্ষিতে আরেকটি বিষয় আছে যা শুনতে খারাপ মনে হলেও
বাস্তবক্ষেত্রে জরুরী। সেটি হল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা। অর্থাৎ পরিচিতজনের
রেফারেন্স ব্যবহার করা। যদি কোথাও আপনার পরিচিত কারো মাধ্যমে আপনি চাকরি করতে যান
বা যেখানে চাকরি করতে চাচ্ছেন সেখানে আপনার পরিচিত কেউ আছে এমন হয় তবে তার সাথে যোগাযোগ
করুন ।
চাকরির ক্ষেত্রে
যোগাযোগের দক্ষতা খুব বেশি প্রয়োজন। শুধু কথা বলার মাধ্যমেই নয় অন্যদের সাথে মেসেজ, ই-মেইল, এসএমএস এর মাধ্যমেও
যোগাযোগ করতে জানতে হয়। কর্মক্ষেত্রে সবার সাথে যোগাযোগে দক্ষতা অর্জন করাটা খুব
বেশি জরুরী।
ইন্টারভিউ দিতে
যাওয়ার সময় অবশ্যই পরিপাটি ইস্ত্রি করা কাপড় পরিধান করবেন। ছেলে হলে শার্ট ইন করে
পড়বেন, সাথে টাই পড়তে পারেন। মেয়ে হলে ভাল মানের থ্রি পিস পড়বেন। আপনার পরিধানের
কাপড়টি আপনার ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলে অনেকটা। এক কপি সিভি ও কলম নিতে অবশ্যই
ভুলবেন না।প্রশ্নোত্তর দেয়ার সময় খুব বেশি কনফিডেন্স দেখাবেন না আর হাসবেন না।
নিজের লক্ষ্য ঠিক
করুন , লক্ষ্য সম্পর্কে ভালোমতো জানুন,এরপর লক্ষ্য অনুযায়ী প্রস্তুত হোন। এভাবে
ধাপে ধাপে নিজেকে চাকরির জন্য তৈরী করুন।