ই-কমার্স নিয়ে কিছু কথা

ই-কমার্স নিয়ে কিছু কথা

Services

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় শব্দ ‘ই-কমার্স’ । ই-কমার্স শব্দটি ‘ইলেকট্রনিক কমার্স’ এর সংক্ষিপ্ত শব্দ। ইলেকট্রনিক নেটওয়ার্ক মানে ইন্টারনেট বিভিন্ন ইলেকট্রনিক  ডিভাইসে ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, অর্থ লেনদেন ও ডাটার আদান-প্রদান করাই  ই-কমার্স।

ই-কমার্স কি?

ই কমার্স সাধারণত সুসম্পন্ন হয়  বিটুবি, বিটুসি, সিটুসি এর মাধ্যমে। বিটুবি(B2B) মানে হল এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পন্ন হয়। বিটুসি(B2C) হল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে ভোক্তার  সম্পর্ক। আর সিটুসি (C2C) হলো ভোক্তার সাথে ভোক্তার সম্পর্ক।  ই-কমার্স সাইটগুলোতে  এই তিনভাবেই ব্যবসা সম্পন্ন হয়।

ই-কমার্স ও বাংলাদেশঃ

উন্নত দেশগুলোতে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব শুরু হলেও , একবিংশ শতাব্দীতে এসে আস্তে আস্তে তা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিস্তৃত হয়েছে। ২০০৯ সালের দিকে বাংলাদেশে প্রথম ই-কমার্স ব্যবসা চালু হয়। কয়েকটি ই-কমার্স সাইটের জনপ্রিয়তায় দেশের মানুষেরমধ্যে অনলাইন কেনাকাটার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

ই-কমার্স এ প্রয়োজনঃ

ই-কমার্স ব্যবসা চালু করার ক্ষেত্রে প্রথমে জরুরী হলো ব্যবসায়িক মডেলসহ ব্যবসা পরিচালনার একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।  পরিকল্পনায় কৌশলগত আরো যেসব  বিষয়কে যুক্ত করতে হবে:

 

১. একটি নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট তৈরি;

২. ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) করা ;

৩. প্রোডাক্ট বা কনটেন্ট মার্কেটিং;

৪. ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং;

৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তা গ্রহণ;

৬. পণ্যের  বিজ্ঞাপন দেওয়া;

৭. ছবি তোলা ও অডিও-ভিডিও এবং তা আপলোড করা;

৮. নিয়মিত পণ্য সম্পর্কে লেখা ও আকর্ষণীয় শিরোনাম তৈরির দক্ষতা;

৯. প্রোডাক্ট বা কনটেন্ট এর চাহিদা নিরূপণের জন্য গবেষণা বা সার্ভে;

১০. পেমেন্ট এর জন্য ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা;

১১. পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা;

১২. ভোক্তার সঙ্গে যোগাযোগ।

 

প্রযুক্তি বিশ্বকে একধাপ সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছে ই-কমার্স সিস্টেম। সাম্প্রতিক করোনাকালীন দুঃসময়ে ই-কমার্স  সাইটগুলো বেশ সাহায্য করেছে বলা যায়। ভোক্তাদের চাহিদানুযায়ী পণ্য ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। সব মিলিয়ে মানুষের  বেশ উপকার করেছে  ই-কমার্স ব্যবসা। শুধু পণ্য দিয়েই নয় ই-কমার্স ব্যবসায় অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছে ,উদ্যোক্তা জীবনে প্রবেশ করেছে।