জাম্পস্যুট একটি পশ্চিমা
পোশাক যা বর্তমানে আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়।জাম্পস্যুট পোশাকটি বড় থেকে ছোট সকলের
জন্যই মানানসই। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা-পুরুষদের জন্যও এই
পোশাক পাওয়া যায়।
অনেকেই জাম্পস্যুট পড়তে চেয়েও
আবার নিজেকে গুটিয়ে নেন। নিজেকে এই পোশাকে বেমানান লাগবে এটা চিন্তা করেই এই
পশ্চিমা পোশাকটি কেনা থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু জাম্পস্যুট শুধু এক রকম ডিজাইনের
হয়না। কেনার আগে তাই নিজের জন্য পছন্দসই সাইজের ও ডিজাইনের কিনলে পোশাকটি যে
কাউকেই মানিয়ে যায়।
জাম্পস্যুট কী?
এটি মূলত প্রথমদিকে
স্কাইডাইভারদের পোশাক ছিলো। এক কাটের কাপড় হওয়াতে এটি ডাইভিং এর জন্য ব্যবহার করা
হতো। কিন্তু পরবর্তীতে এটি মহিলাদের পোশাক হিসেবে জনপ্রিয়তা পায়।
জাম্পস্যুট কেনার সময়
যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবেঃ
জাম্পস্যুট কিনতে গেলে
প্রথমে আপনার পছন্দের রঙ বা ডিজাইনটি পছন্দ করুন। তারপর ট্রায়াল রুম থাকলে তাতে
গিয়ে পড়ে চেক করতে পারেন। যদি আপনার উচ্চতা লম্বা হয় তাহলে কেনার সময় পায়ের দিকে
ছড়ানো জাম্পস্যুট যেটা মাটির একটু ওপরে শেষ হয়ে গেছে সেরকম কিনতে পারেন। আর যদি
আপনার উচ্চতা কিছুটা কম বা মাঝারী হয় তাহলে স্লিম ফিট ক্রপড স্টাইলের জাম্পস্যুট
কিনুন।
কোথায় পড়তে পারেন?
জাম্পস্যুট শুধু নির্দিষ্ট
কোনো অনুষ্ঠানেই পড়া যায়না। পোশাকটি ফর্মাল অনুষ্ঠানেও পড়া যায়।
সপ্তাহান্তের কোনো পার্টি
বা ক্যাজুয়াল প্রোগ্রামে অনায়াসেই পড়তে পারেন জাম্পস্যুট। কোমরে বেল্ট বা ইলাস্টিক
আছে এমন জাম্পস্যুটেই বেশিরভাগ নারীরা আরামবোধ করেন। সুতির বা ডেনিমের জাম্পস্যুট
পড়েও ক্যাজুয়াল অনুষ্ঠানে দিব্যি উপস্থিত হওয়া যায়।
জাম্পস্যুটের সাথে আনুষঙ্গিকঃ
জাম্পস্যুটের সাথে বাকি
আনুষঙ্গিক যেমন- জুতা, জুয়েলারি, ব্যাগ ইত্যাদি বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে।জুতার
ক্ষেত্রে লেডিস কেডস, ক্রপড স্টাইল বুটস বা লেইস দেয়া জুতো পড়লে বেশ দারুন
মানাবে। জুতার হিল যেনো গোড়ালির একটু উপরে শেষ হয়। এতে করে উচ্চতা কিছুটা দীর্ঘ
দেখায় এবং স্লিমও দেখায়। আপনার জাম্পস্যুটকে আরো বেশি রুচিশীল রুপ প্রদান করে কোমরের কাছটায় একটা
বেল্ট। যদি আপনি নতুন নতুন জাম্পস্যুট পড়ে থাকেন বা প্রথমবার জাম্পস্যুট পড়েন তবে
একটি কন্ট্রাস্ট রঙের কোমরবেল্ট পড়ুন। এটি আপনার লুককে আরো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে
তুলবে। গয়না পছন্দের ব্যাপারেও আপনাকে কিছুটা সতর্ক থাকতে হবে। এমন গয়না পড়া
যাবেনা যা আপনার জাম্পস্যুটের চাইতে বেশি আকর্ষনীয় মনে হয়। কারণ ভারী গয়না আপনার
পোশাকের আকর্ষনকে ফিকে করে দিতে পারে। জাম্পসুট কোনও জুয়েলারি ছাড়া খুব সাদামাটা দেখায়। বিশেষ করে ব্লক কালার জাম্পসুট
পরলে তার সঙ্গে কোনও গয়না না থাকলে সেটা ভালো লাগে না। তাই জাম্পসুটের সঙ্গে
প্রয়োজন বোল্ড জুয়েলারি যা আপনার লুককে আর অনেক বেশি উজ্জ্বল করবে। তাই
আপনার জাম্পসুটের সঙ্গে নেকলেস বা বড় আকারের পেনডেন্ট , ইয়াররিং বেছে নিন। ফর্মাল
জাম্পসুটের সঙ্গে সোনার গয়না খুব ভালো লাগে। আবার ক্যাজুয়াল জাম্পসুট পরলে ফাঙ্কি ও
পপ কালারের জুয়েলারি
পরতে পারেন।
কিছু ব্যাপার যেগুলো
অবশ্যই মনে রাখবেনঃ
পালাজো ডিজাইনের জাম্পসুট এখন বেশ ট্রেন্ড-এ আছে। এটা ঢিলেঢালা এবং সুতির বলে গরমকালে পরে আরাম পাওয়া যায়। তাছাড়া স্কিন ফিটিং জাম্পসুট সবাইকে মানায় না।
কিন্তু এই ধরণের জাম্পসুট সবাই পরতে পারে।
জাম্পসুটে স্লিম দেখাতে চাইলে কালো জাম্পসুট পরুন
যার পায়ের দিকটা ছড়ানো। জাম্পসুট কখনোই বেশি টাইট বা বেশি আলগা যেন না হয়। কোনওটাই
দেখতে ভালো লাগবে না।যখন জাম্পসুট পরবেন তখন কালার কম্বিনেশান নিয়ে একটু সচেতন
থাকবেন।
সর্বোপরি আপনার পছন্দের
পোশাক জাম্পস্যুটে কিভাবে তৈরী হলে খুব সুন্দর মানাবে তা আপনাকেই বুঝে নিতেহবে। কারন ফ্যাশন
ব্যাপারটা সম্পূর্ণ নিজের উপর নির্ভর করে।