স্বাস্থ্য সচেতনতা - অত্যন্ত জরুরী বিষয়

স্বাস্থ্য সচেতনতা - অত্যন্ত জরুরী বিষয়

Clothing, Health and Beauty

স্বাস্থ্য – শরীর আর মনের মেলবন্ধন। আমরা মানুষরা জন্মের পর থেকে মৃত্যু অবধি সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যেই কাটাই। আর আমাদের স্বাস্থ্য ভাল-খারাপ থাকার পেছনে প্রকৃতি ও আশপাশের পরিবেশের প্রভাব অনেক।

বেঁচে থাকার জন্য স্বাস্থ্য সচেতন হওয়াটা বেশি জরুরি। প্রাত্যহিক কাজ-কর্ম, খাদ্যাভ্যাস, আচার-আচরণ, সুস্থতা এগুলো নিয়ে সচেতন থাকতে হয়। প্রতিদিনকার নানা অভ্যাস যেমন পরিষ্কার পরিশ্রুত পানি পান করা , স্বাস্থ্যসম্মত  খাবার খাওয়া, হাত-মুখ  পরিষ্কার করে ধুয়ে নেওয়া খাওয়ার আগে ও পরে ইত্যাদি। এছাড়াও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ব্যবহার করা উচিত ।  স্বাস্থ্য ভালো রাখায় খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব অনেক। যখন তখন বাইরের খাবার খাওয়া ঠিক নয়।ভেজালের ছরাছড়ি সবখানে। খালি চোখে হয়ত ভেজাল চেনা সম্ভব নয় তবুও এ ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত। মাদক জাতীয় দ্রব্য সেবন থেকে বিরত  থাকুন সবসময়। সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আস্তে আস্তে কমিয়ে আনুন। অনেকের সকালে খালিপেটে থাকার অভ্যাস আছে যা শরীরকে সারাদিন দূর্বল করে রাখতে পারে এমনকি দীর্ঘক্ষন খালি পেটে থাকলে গ্যাস্ট্রিক, আলসারের মতো রোগ আক্রমন করতে পারে। অসুস্থতা নিয়ে সচেতন হোন। শরীর খারাপ হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিস। অসুখের সময় ঔষধের ব্যবহার নিয়ে অনেকের মাঝে ভুল ধারণা আছে। এসব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ঔষধ খাওয়ার সময় অবশ্যই শিশির গায়ে থাকা মেয়াদের তারিখ দেখে নিন। আচার আচরণে স্বাস্থ্য সচেতনতা বলতে বুঝায় আশেপাশের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখা। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবেনা।

স্বাস্থ্য মানবজীবনের আল্লাহর অন্যতম এক নিয়ামত ।রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “দুর্বল মুমিনের তুলনায় সবল মুমিন অধিক কল্যাণকর ও আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। তবে উভয়ের মধ্যেই কল্যাণ রয়েছে।“ মানুষকে নিজের খেয়াল নিজেকেই রাখতে হয় যাতে নিজের অসচতনতার কারনে ব্যাধিগ্রস্থ না হয়ে যায়। ইচ্ছাকৃতভাবে অসুস্থ হলে আল্লাহ তাঁকে কিয়ামতের দিন শাস্তির সম্মুখীন করবে। অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা গ্রহনের চাইতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থ থাকাকে ইসলামে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সাল পুরো পৃথিবী দেখেছে মহামারী করোনার তান্ডব। এখনো শংকামুক্ত হয়নি পৃথিবীর মানুষ। করোনা এমন এক রোগ হয়ে দেখা দিয়েছে যার কোনো ঔষধ এখনো আবিষ্কার হয়নি। আর প্রতিকার হিসেবে ভাল ফলাফল পাওয়া গেছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকায় । বাড়ির বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক বলেছেন বিজ্ঞানীরা। বাইরে থেকে ফিরে পরিধানের কাপড়গুলো ধুয়ে ফেলা, স্নান করে পরিষ্কার হওয়া এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করে হাতকে সবসময় জীবানুমুক্ত রাখার কথাও বলা হয়েছে। এছাড়া হাঁচি কাশি দেওয়ার পর হাত মুখ বা চোখের কাছে না নিতেও বলা হয়েছে। ব্যবহৃত টিস্যু ডাস্টবিনে ফেলুন। আর জ্বর কাশির আক্রমন হলে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন চিকিৎসকরা ।

 

দেশে এখন শীতের আবহ শুরু হয়েছে। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে নানা রোগ আক্রমন করে । আর এই ঠান্ডায় করোনা মহামারীর দ্বিতীয় দফা আক্রমনের ভয়ও আছে।  তাই এখন মেনে চলতে হবে বিশেষ সতর্কতা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করাটাই  এখন আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য অধিক নিরাপদ।