মোটর সাইকেল – হাল ফ্যাশনে
ছেলে বা পুরুষদের অন্যতম পছন্দ । তরুন-যুবাদের কাছে মোটর সাইকেল বা বাইক এখন শখের
নাম। স্বাধীনতা, ফ্যাশন ও উদ্দামতার প্রতীক হলো বাইক।
মোটর সাইকেল বা বাইক একটি
যন্ত্রচালিত পরিবহনণ । এটিতে দ্বিচক্রযানের ন্যায় দুইটি চাকা ও মোটর থাকে । কিছু
বাইক আছে তিন চাকাবিশিষ্টও হয়। একজন থেকে সর্বোচ্চ তিনজন এতে একসাথে ভ্রমন করতে পারে। প্রথম যে মোটর সাইকেল আবিষ্কার
করা হয়েছিলো তার ভেতরের ইঞ্জিনে পেট্রোলিয়াম
দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছিল। ১৮৮৫ সালের দিকে দুই আবিষ্কারক গতলিয়েব ডেইমলার ও
উইলহ্যাম মেব্যাচ জার্মানির ব্যাড ক্যাস্তাতে
প্রথম মোটরসাইকেলটি আবিষ্কার করেন।
মোটর সাইকেল কেনার ও চালানোর ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত-
১) শুধু শখের বসে দুদিন
বাইক চালিয়েই নতুন বাইক কেনার চিন্তা করবেন না। শুধু বাইক চালনার ক্ষেত্রে নয়,কোনো
বিষয়ে আগে পারদর্শী হতে হয় তারপর সেই
বিষয়ে নিজেকে জড়ানো যায়। তাই ঝোঁকের বশে বা ট্রেন্ড ফলো করতে নয়, নিজের সক্ষমতা,
পারদর্শিতা সবকিছু বিবেচনা করেই বাইক কেনার সিদ্ধান্ত নিন।
২) শুধু ফ্যাশন বা
স্মার্টনেসের দিকটা খেয়াল রাখলেই হবেনা বাইক কেনার সময় আগে চিন্তা করতে হবে আপনার
প্রয়োজনটা কেমন। আপনি কি প্রতিদিনে ব্যবহার করতে চান নাকি মাঝেমাঝে। যদি
প্রাত্যহিক ব্যবহারের জন্য হয় তাহলে সাইজে হালকা ও বেশি এমপিজি সম্পন্ন বাইক নিন।
আর যদি মাঝেমাঝে ব্যবহারের জন্য হয় তাহলে দামী , ভারী ও স্টাইলিশ দেখতে বাইক
কিনুন।
৩) নতুন বাইক চালাতে
শেখার পর অনেকেই মনে করেন এবার একটা বাইক কিনলেই হলো! কিন্তু কখনো নিজের ক্ষমতার
চিন্তা করেন না। শুধু পারফরমেন্স চিন্তা করে বাইক কেনা যায়না। আপনার পারফরমেন্স এর
সাথে আপনার বাইকের গঠনও সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
৪) মোটর সাইকেল কেনার আগে
ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করুন। এটি একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই কেনার
আগে আবেদন করুন। মোটর সাইকেল কেনার পর আবার গাড়ির ও লাইসেন্স করান।
৫) বাইক কেনার সময়
আনুষঙ্গিক আরো যা যা দরকার সেগুলোও কিনতে ভুলবেন না। হেলমেট, রেইন কোট, গ্লাভস,
বুটস ইত্যাদি যা যা প্রয়োজন সব কিনে ফেলুন
একই সাথে। আমাদের দেশের সড়ক আইনে হেলমেট না পড়ে বাইক চালানো এমনকি বাইকের পিছনে
বসলেও হেলমেট পড়ার নিয়ম আছে।
৬) বাইক কিনলেন, লাইসেন্স
পেলেন , বাকি যা যা দরকার সবই এখন আপনার আছে তার মানে এই নয় আপনি এখনই চাইলে বাইক
নিয়ে লং ড্রাইভে বেরিয়ে যেতে পারেন।আগে সাধারণভাবে নিজের কাজে বাইকের ব্যবহার করুন
। এতে আপনার দক্ষতা বাড়বে। আর যখন মনে করবেন এবার আপনি নিজেই কনফিডেন্স রাখতে
পারছেন তখনই লং ড্রাইভ এ বের হোন।
৭)বাইক চালানোর সময়
রাস্তার পাশে থাকা সিগন্যাল গুলো অবশ্যই মনে রাখবেন এবং মেনে চলবেন ।
৮) বাইক চালানোর সময়
নিজেকে এমনভাবে প্রস্তুত রাখুন যাতে যেকোনো পরিস্থিতিতে ব্রেক সামলাতে পারেন।
৯) সম্পূর্ণভাবে নিজের
চালনার উপর আগে ভরসা অর্জন করুন তারপর পিছনের সিটে যাত্রী বা পিলিয়ন নিন। কারণ
একজন যাত্রী নেয়া মানে বাইকের ওজন আরো কিছুটা বেড়ে যাওয়া। তাই বুঝে শুনে পিছনে
যাত্রী নিন।
মোটর সাইকেল কেনার আগে
উপরোক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই পড়ে নিন ও মনে রাখুন। আপনার বাইকার লাইফ সুন্দর হবে এতে।