ফ্রিজ কেনার আগে যা যা মনে রাখবেন!

ফ্রিজ কেনার আগে যা যা মনে রাখবেন!

Electronics

রেফ্রিজারেটর”- যেটিকে  আমরা ফ্রিজ নামে সবাই চিনি। আমাদের গৃহস্থালী আরো নানা ইলেকট্রনিক ব্যবহারীয় যন্ত্র সমূহের মধ্যে জনপ্রিয় একটি হল ফ্রিজ। এতে কৃত্রিমভাবে খাদ্য পানীয় সংরক্ষণ করা এবং দীর্ঘসময়ের জন্য টাটকা রাখা যায়।

রেফ্রিজারেটর এর উৎপত্তি

খাদ্য ঠান্ডা করে জমানোর জন্য প্রথমে বরফ ব্যবহার করা হতো। তবে কৃত্রিম রেফ্রিজারেশন শুরু হয়েছিলো ১৭৫০ দশকের মধ্যভাগে, ১৮০০ শতকের প্রথমভাগে তা আরো উন্নত হয়। প্রথম কার্যকর জলীয়বাষ্প-কম্প্রেশন রেফ্রিজারেটর সিস্টেম তৈরি করা হয় ১৮৩৪ সালে আর প্রথম বাণিজ্যিকভাবে বরফ তৈরির কল উদ্ভাবিত হয় ১৮৫৪ সালে। ঘরে ব্যবহারের উপযোগী রেফ্রিজারেটর তৈরি করা হয় ১৯১৩ সালে অতঃপর ১৯২৩ সালে প্রথম স্বয়ংসম্পূর্ণ একক ফ্রিজ বানায়  ফ্রিজিডেয়ার কোম্পানি ফ্রেয়ন আবিষ্কারের পর ৩০-এর দশকে রেফ্রিজারেটরের বাজার প্রসারিত হয়। ৪০-এর দশকে আসে হোম ফ্রিজার, তাতে ছিল প্রয়োজনের চেয়ে বড় আলাদা আলাদা কম্পার্টমেন্ট, যেন আইস কিউব রাখা যায়। রেফ্রিজারেটর আসার পূর্বে জমানো বা হিমায়িত খাবার ছিল বিলাসদ্রব্য, কিন্তু এখন তা সাধারণের নাগালে চলে এলো।

 

রেফ্রিজারেটর এর নানা অংশ

ফ্রিজে একটি অংশ থাকে তাপনিরোধক কম্পার্টমেন্ট হিসেবে আর একটি অংশ ফ্রিজ থেকে তাপ বাইরে বের করে দেয়। এতে করে ফ্রিজের বাইরের অংশের চাইতে  ভেতরের অংশ বেশি ঠান্ডা থাকে। এর ভেতর তাপমাত্রা গলনাঙ্কের সামান্য উপরে থাকে। ব্যাকটেরিয়া কম তাপমাত্রায় প্রজনন কম করতে পারে আর ছড়াতে পারেনা।এ কারণে খাদ্য পঁচেনা। খাদ্য সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজের অনুকূল তাপমাত্রা রাখতে হয় থেকে ডিগ্রি যা ফারেনহাইট স্কেলে থাকে ৩৭ থেকে ৪১ ফা.

 

কেনার আগে লক্ষ্য রাখুনঃ

বর্তমানে নানা ধরনের ডিজাইন বাড়তি সুবিধা সম্বলিত ফ্রিজ বাজারে পাওয়া যায়। তাছাড়াও নতুন ,পুরাতন দুই ধরনের ফ্রিজ কিনতে পারেন চাইলে। আপনি যদি একটি ফ্রিজ কিনতে চান তবে কোন কোন দিকগুলো আপনার খেয়াল রাখা উচিত তা উল্লেখ করা হলঃ

) ফ্রিজ কেনার আগে অবশ্যই স্থান নির্বাচন করুন। এমন স্থানে ফ্রিজ বসাতে হবে যেখানে রাখলে ফ্রিজের দরজা খুলতে সুবিধা হবে এবং চারপাশে বাতাস চলাচলের মতো ফাঁকা জায়গা থাকবে।

)ফ্রিজ দুই ধরনের হয়ফ্রস্ট এবং নন ফ্রস্ট। ফ্রস্ট ফ্রিজ হলো যাতে বরফ জমে। আর নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ হলো যাতে বরফ জমেনা। আপনার চাহিদা বুঝে আপনি নিজের ফ্রিজ বাচাই করে কিনতে পারেন।

)আপনার যদি বাজেট এবং চাহিদা কম হয় তবে আপনি এক দরজা বিশিষ্ট ফ্রিজ কিনতে পারেন। আর যদি বড় ফ্রিজের দরকার হয় তবে দুই দরজা বিশিষ্ট ফ্রিজ কিনতে পারেন। দুই দরজা বিশিষ্ট বলতে নরমাল এবং ডিপ ফ্রিজ আলাদা দরজা বিশিষ্ট ফ্রিজকে বুঝায়।

)কেনার সময় সবচেয়ে জরুরী দিক হলোকম্প্রেসার, এনার্জি স্টার রেটিং , বডি দরজা।

--কম্প্রেসার হলো সবচেয়ে জরুরী বিষয় ফ্রিজের ক্ষেত্রে। কম্প্রেসার যত ভালো হয় ফ্রিজ তত বেশি টিকে তাই দাম বেশি লাগলেও কম্প্রেসার ভাল দেখে কিনুন। কারণ কম্প্রেসার বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে ভোল্টেজের উঠানামা কন্ট্রোল করে।

-- এনার্জি রেটিং যত বেশি হয় ফ্রিজের জন্য তত ভালো এনার্জি রেটিং মানে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ব্যাপারটি বুঝায়। ফোর, ফাইভ রেটিং এর ফ্রিজ বেশি ভালো

--বডি এবং দরজা মেটালের হলে এড়িয়ে চলুন কারণ এতে জং ধরতে পারে। আর যদি ফাইবারের তৈরী হয় তবে নিশ্চিন্তে কিনে ফেলুন।

 

) ফ্রিজ কেনার সময় অবশ্যই ফ্রিজের ওয়ারেন্টি দেখে নিন। কম্প্রেসারের উপর ,,১০ বছরের ওয়ারেন্টি লেখা থাকে। এছাড়াও ফ্রিজের রঙ, স্থায়িত্ব এসব বিষয়ও মাথায় রাখবেন।

৬) ফ্রিজের রঙ আপনার বাসা-বাড়ির ইন্টেরিয়র এর সাথে ম্যাচিং করে নেওয়াটাই শ্রেয়।

৭)ফ্রিজের সাথে স্ট্যাব্লেজার লাগাতে ভুলবেন না। ভোল্টেজ ওটানামার সমস্যায় ফ্রিজকে নিরাপদ রাখে এটি।
৮)ফ্রিজের দরজা বেশিক্ষন খুলে রাখবেন না এবং দরজা জোরে বন্ধ করবেন না।

 

ফ্রিজ শুধু কিনলেই হবেনা। উপরোক্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারগুলো অবশ্যই মনে রাখবেন। দেশীয় বাজারে বর্তমানে দেশীয় পণ্য হিসেবে Walton এর জুড়ি নেই।আর Walton ফ্রিজ কিনে নিশ্চিত ক্যাশব্যাক পেতে ভিজিট করুন https://www.osellers.com এই ওয়েবসাইটে।