নাজিয়া একটি বেসরকারী
প্রতিষ্ঠানে চাকরী করে। সংসারে শ্বাশুড়ি, স্বামী আর দুই সন্তান আছে। প্রতিদিন
রাতেই তার রান্না সেরে নিতে হয় পরদিনের
জন্য। সকালে উঠে নাস্তা বানাতেই যত ঝামেলা। কি তৈরী করবে এই চিন্তাটাই যেনো বিশাল
এক বোঝা। ফ্রোজেন রুটি –পরোটা দিয়ে প্রায়ই কোনোভাবে চালিয়ে নেয়। মাঝেমাঝে বাচ্চারা
এসব খাবার নিয়ে বিরক্তি জানায়। ওদের এসব সামলাতে গিয়ে অনেকসময় অফিসের গাড়িটাও মিস
হয়ে যায়। ফলে অফিসে পৌঁছাতেও লেট।
প্রতিদিন অফিসে মহিলা কলিগরা
দুপুরে খাবারের সময় সবাই বসে গল্প করে এটা সেটা নিয়ে।একদিন কথায় কথায় নাজিয়া বললো,”
প্রতিদিন সকালের নাস্তাটা আপনারা কিভাবে সামলান? আমারতো মেন্যু ঠিক করতেই কষ্ট হয়।
প্রতিদিন এক খাবার নিয়ে বাচ্চাগুলোও বিরক্ত হয়। সকালে একটু পেট ভরে না খেলেওতো
চলেনা।“ পাশ থেকে রিতিকা ও জানালো তারও এই সমস্যায় পড়তে হয়।
এবার সামিনা বলে উঠলো,”নাজিয়া
আপা, আমিতো সকালে উঠে প্রায়ই স্যান্ডউইচ
রেডি করে দেই সবাইকে।পাউরুটিতে শশা, গাজর,
লেটুস, টমেটো , ডিম আর মাঝে মাঝে চিজ -এগুলো দিয়ে তৈরী করি। বাচ্চারাও খুব পছন্দ
করে খেতে। আর সন্ধ্যার নাস্তাতেও খেতে চাইলে বানিয়ে দেই। পেটও ভরে আর গ্রীন
ভেজিটেবলস ও খাওয়া হয়ে যায়।“ সামিনার কথা শুনে তো নাজিয়া আর রিতিকা অবাক।
নাজিয়া আর রিতিকা দুজনের
জিজ্ঞাসু চোখের উৎসাহ দমন করতে সামিনা জানাতে শুরু করলো কিভাবে সে এই সমস্যাকে সামলায়। “একসময় আমিও এই
সকালের নাস্তা নিয়ে মহাবিরক্তিতে ছিলাম। তার উপর বাচ্চাগুলো সবজি খেতে চাইতোনা।
একদিন ইউটিউবে একটা ভিডিও দেখেই পেলাম সমাধান। ইলেকট্রিক স্যান্ডউইচ মেকার। পরদিন
অফিস থেকে যাওয়ার পথেই কিনে নিলাম। এখন আর আমার টেনশন নেই। পাউরুটির এক টুকরাতে
স্লাইস করে শশা, টমেটো, লেটুস পাতা দিই আর এক টুকরাতে হালকা চিজ বা মাখন মেখে সব গুছিয়ে
স্যান্ডউইচ মেকারে দিলেই ব্যস তৈরী হয়ে যায়।বাচ্চারা আর ওদের বাবা খুব পছন্দ করে খেতে।
টেনশনও গায়েব, খুশি লাগে ওদের খেতে দেখলে। আপনারাও কিনে ফেলুন। দেখবেন কত দ্রুত
রেডি হয়ে যায় আর বাচ্চারাও পছন্দ করবে।“ সেদিনের সমাধান পাওয়ার পর থেকে নাজিয়া আর
রিতিকার এখন সকালে উঠে নাস্তা নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয়না। দুজনেই বাসায় কিনে ফেলেছেন
ইলেকট্রিক স্যান্ডউইচ মেকার। পরিবারের সবাই খুশী আর নাস্তা তৈরীর চাপও নেই। এখন আর
প্রতিদিন রুটি, পরোটা খেতে হয়না। মাঝেমাঝে সুস্বাদু স্যান্ডউইচ ও খাওয়া হয়ে যায়
সাথে ভিটামিনের নানা উপাদানও যুক্ত হয় খাবারে।
সকাল-সন্ধ্যার
নাস্তা নিয়ে এমন চাপ প্রায় প্রতিটি সংসারের গৃহিনীদের নিত্যদিনের দৃশ্য।কর্মজীবি
নারীদের জন্য এ চিন্তাটা একটু বেশিই চাপ তৈরী করে । পরিবার, সংসার , কর্মস্থল
সবদিকে সামলাতে হয় এক হাতে। আর সাধারণ গৃহিনী হোক বা কর্মজীবি গৃহিনী সবার জন্য স্যান্ডউইচ মেকার
একটি দারুন কার্যকরী মেশিন।
স্যান্ডউইচ মেকার
একটি ইলেকট্রিক যন্ত্র। এটি তে দুই বা তিনটি প্লেট থাকে যা নন-স্টিকি। এই মডেলের
স্যান্ডউইচ মেকারের প্লেট চেঞ্জ করার সুযোগ থাকে। আর কিছু আছে প্লেট সেট করা। যা
চেঞ্জ করার কোনো সুযোগ নেই। তাই কেনার সময় অবশ্যই প্লেট বদলানো যায় কি না সেটা চেক
করে নিজের সুবিধামতোই কিনবেন।
সংসারের যেকোনো
জিনিসই যত্ন করতে হয়। অন্যান্য মেশিনগুলোর মতো স্যান্ডউইচ মেকারও ব্যবহার করার পর
যত্ন করতে হবে।স্যান্ডউইচ তৈরী করার পর সুইচ করে দিন। কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন। কারন
অনেক্ষন পর্যন্ত প্লেটগুলো উত্তপ্ত থাকে। ঠান্ডা হওয়ার পর হালকা ভেজা কাপড় দিয়ে
প্লেটগুলো মুছে ফেলুন। যে প্লেটগুলো চেঞ্জ করা যায় সেগুলো পরিষ্কার করতে সহজ হয়।প্লেটগুলো
খুলে সাবান পানি দিয়ে ভালোমতো ধুয়ে শুকিয়ে নিতে পারবেন। যদি লাগানো থাকে তাহলে পরিষ্কার
করার সময় অবশ্যই আস্তে আস্তে করতে হবে যাতে প্লেটে কোনো দাগ না লাগে বা প্লেট ছুটে
না যায়। যদি কখনো পাউরুটি বা সবজির অংশ শক্ত হয়ে লেগে থাকে তবে প্লাস্টিকের
স্প্যাচুলা দিয়ে বা নখ দিয়ে হাল্কা করে খুঁচিয়ে তুলে ফেলুন। বেশি পানি দিয়ে কখনো
মেশিনটি ধোয়া যাবেনা মনে রাখবেন। যন্ত্রে যেনো কোনোভাবে পানি না ঢুকে তা খেয়াল
রাখবেন।প্রতি ১০-১২বার পরিষ্কারের পর প্লেটগুলোতে ভেজিটেবল অয়েল ব্রাশ করে দিন।
এতে করে ননস্টিকি অংশটা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
বাজারে বিভিন্ন
ব্র্যান্ডের স্যান্ডউইচ মেকার পাওয়া যায়। মিয়াকো, নোভা, নোভেনা, ফিলিপস, ওয়ালটন, মোলিনেক্স, আরএফএল-সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্যান্ডউইচ মেকার এভেইলেবল পাবেন বাজারে। আকার
ও মানের ভেদে ৮০০ থেকে সাড়ে ৩ হাজার পর্যন্ত দাম হতে পারে এই মেশিনের। ক্রেতাদের
চাহিদা ও পণ্যের গুণগত মান বজায় রেখে দেশীয় ব্র্যান্ড Walton বাজারে এনেছে
নতুন স্যান্ডউইচ মেকার।এখানে তিন ধরনের প্লেট ব্যবহার করা যাবে। স্যান্ডউইচ
মেকারের এই মডেলটি ক্রেতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়ও হয়েছে। দেশীয় ব্র্যান্ড Walton এর এই স্যান্ডউইচ
মেকারটি Osellers থেকে কিনলে পাচ্ছেন নিশ্চিত ক্যাশব্যাক উপহার!