প্রাত্যহিক কাজে কমবেশি
সবাই কাজকে সহজ করতে চান। প্রতিদিনকার কাজগুলোকে
বেগমান করতে আছে প্রযুক্তির নানা ব্যবহারসামগ্রী। তার মধ্যে রাইস কুকার একটি। প্রতিদিন ভাত রান্না করার সময় রাইস কুকার এর
ব্যবহারে সময় অনেকটা কম লাগে আর ভাত পুড়ে
নষ্ট হওয়ার সুযোগ থাকেনা বললেই চলে।
রাইস কুকারের গঠনঃ
রাইস কুকারের প্রথম অংশ
হল এর বহিরাবরণ । অ্যালুমিনিয়াম বা স্টিলের ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি বাইরের বড় পট।
একটি আউটার লিড বা বড় ঢাকনা থাকে যা প্লাস্টিক বা অ্যালুমিনিয়াম এর তৈরি হয়ে থাকে। ইনার পট আছে যা অ্যালুমিনিয়াম
দিয়ে তৈরি। মূলত এ পাত্রেই পানি আর চাউল মিশ্রন করে এই পাত্রে দিয়ে রান্না করা হয়।
রাইস কুকারে সাপ্লাই কর্ড সংযোগের পর কন্ট্রোল প্যানেলে কন্ট্রোল বোতাম পুশ করলে
রাইস কুক ল্যাম্প জ্বলবে অর্থাৎ কুকিং কার্যক্রম আরম্ভ হবে। অবশ্য আগে সুইচ অন করে
রাইস কুকারকে কার্যক্রমে আনা হয়।হিটিং এলিমেন্টের সাথে একটি ম্যাগনেটিক সুইচ থাকে। রাইস কুকারের কন্ট্রোল প্যানেল-এর মধ্যে সুইচ, কুক ল্যাম্প, কিপ ওয়ার্ম ল্যাম্প, সাপ্লাই টার্মিনাল ইত্যাদি থাকে।রাইস কুকারের
প্রধান হিটিং এলিমেন্টটি দেখতে গোল আকৃতির হিটিং এলিমেন্টের মতো।এর ভেতরে
প্যাঁচানো ধাতব নলে নাইক্রোম তারের স্পাইরাল
আকৃতির হিটিং এলিমেন্টটি থাকে।এর চারপাশে তাপবাহী হিসেবে ইনসুলিটিং পদার্থের গুড়া
দেয়া থাকে। হিটিং এলিমেন্টের দুই প্রান্তে দুই প্রান্ত টার্মিনাল পয়েন্ট হিসেবে
সাপ্লাই কর্ডে সংযোগ দেয়ার ব্যবস্থা থাকে।এর সাথে মেজারিং কাপ, স্টিম ট্রে, কিপ
ওয়ার্ম ল্যাম্প, সুইচ, রাইস স্কুপ, ডিউ কালেক্টর, স্কুপ হোল্ডার ইত্যাদি আছে।
রাইস কুকারে রান্নার নিয়মঃ
রাইস কুকারে রান্নার নিয়ম হলো - প্রথমে
চাল ধুয়ে নিতে হবে। চালের পরিমাণের দেড় গুন পানিসহ মিশ্রণ নিয়ে বড় অ্যালুমিনিয়াম পাত্রে নিতে হবে।
পাত্রের তলা ভালভাবে মুছে পাত্রটি কুকারে বসিয়ে দিন। ঢাকনা লাগিয়ে দিয়ে সুইচ অন
করে দিন। ভাত ফুটে উঠলে ঢাকনা সরিয়ে দেখুন মাড় ঠিক আছে কিনা। মাড় বেশি মনে হলে
অল্প পানি সরিয়ে নিন তারপর হিটিং সুইচে ক্লিক করে ভাতকে দমে বসিয়ে রাখুন। রাইস
কুকারে ভাত ঝরঝরে হয় মোটামুটি।
রাইস কুকারের যত্নঃ
রাইস কুকার ব্যবহার করলে অবশ্যই তার যত্ন
করতে হবে। ইলেকট্রনিকস এর যন্ত্র মানেই এর সঠিক যত্ন। চলুন জেনে রাখি রাইস কুকারের
যত্নের নিয়মগুলো-
১)রাইস কুকার সবসময় সমতল অবস্থানে
ও খোলা মেলা রান্নাঘরে বসাতে হবে। যাতে রান্নার পর বাতাসে ভ্যাপসা গন্ধ না
থাকে।
২) রাইস কুকারে ভাত ছাড়া তরকারীও রান্না
করা যায়। তাই ভাত হোক বা তরকারী , রান্নার পর অবশ্যই ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। আর
কুকারের ভেতরে যদি মাড় পড়ে থাকে তাহলে পরিষ্কার করে ফেলুন।
৩) রান্না শেষ হলেই সুইচ অফ করতে ভুলবেন
না।
৪) পরিষ্কার করার সময় বা মোছার সময় ভুলেও
যেনো পানি প্রবেশ না করে । কারণ এতে শর্ট সার্কিট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৫) আপনার কুকারে যদি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ
করার অপশন থাকে তবে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখবেন। কখনো বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন
না।
রাইস কুকার রান্নাঘরে গৃহিনীর একটি অতি
উপকারী ও পছন্দের জিনিস। চাকুরিজীবি মহিলাদের কাজকে সহজ করে রান্নাঘরে থাকা এই
মেশিনটি। বাজারে আপনি নানা ব্র্যান্ডের রাইস কুকার পাবেন। তবে মানে ও গুণে আমাদের
দেশী পণ্য ওয়ালটন অবশ্যই এগিয়ে আছে। Osellers থেকে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের রাইস কুকার কিনে বুঝে নিন নিশ্চিত ক্যাশব্যাক
উপহার! রান্নাঘরে গৃহীনির আনন্দ হোক দ্বিগুণ।